এবার পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে ১৩ বছর বয়সী কিশোরীকে বিয়ে করার অভিযোগে ৭০ বছরের এক বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রদেশের সোয়াত জেলায় এই অসম বিয়ের ঘটনা ঘিরে দেশটিতে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে দেশটির সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার কিশোরীর বাবা তার মেয়েকে ওই বয়স্ক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে দেন। এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা সোয়াতে কিশোরীর বাড়িতে হাজির হন।
পরে সেখান থেকে ওই কিশোরী, বয়স্ক বর ও কিশোরীর বাবাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এছাড়াও বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত কর্মকর্তা ও সাক্ষীদেরও হেফাজতে নেওয়া হয়। এআরওয়াই নিউজ বলছে, স্থানীয় একটি হাসপাতালে নাবালিকা নববধূর মেডিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে।
এদিকে সোয়াত জেলার স্টেশন হাউস কর্মকর্তা (এসএইচও) রোশান আলী বলেছেন, এই বিয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাকিস্তানের ১৯২৯ সালের বিবাহ নিরোধ আইনে দেশটিতে মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৬ এবং ছেলেদের ১৮ বছর নির্ধারণ করা আছে।
কিন্তু তা সত্ত্বেও দেশটিতে বাল্যবিয়ে মোকাবিলা করা সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি দেশটির থাট্টা জেলায় এক পরিবারের দুই বয়স্ক পুরুষের সাথে দুই কিশোরীর বিয়ে দেওয়া হয়। সোমবার থাট্টা জেলার আদালত ওই দুই কিশোরীকে সুরক্ষা দিতে পুলিশের প্রতি নির্দেশ দিয়েছে।
ওই দুই কিশোরী নববধূর একজনের এক চাচার সাথে বয়স্ক দুই পুরুষের একজনের স্ত্রী পালিয়ে যাওয়ার পর অসম এই বিয়ের ঘটনা ঘটে। সূত্র: এআরওয়াই নিউজ, দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।